বিজয় দিবস ২০১৫ উৎযাপন উপলক্ষে র‌্যালী এবং পুস্পস্তবক অর্পণ ।

বিজয় দিবস ২০১৫ উৎযাপন উপলক্ষে মর্নিং বার্ড   প্যারামেডিক কলেজ এর পক্ষে থেকে এক বিশাল র‌্যালী   এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয় ।
বিজয় দিবস  উপলক্ষে মর্নিং বার্ড   প্যারামেডিক কলেজ এর পক্ষে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ
দুআ ডেস্ক: স্টাফ রিপোর্টার মহান বিজয় দিবস ২০১৫ উৎযাপন উপলক্ষে মর্নিং বার্ড   প্যারামেডিক কলেজ এর পক্ষে থেকে এক বিশাল র‌্যালী   এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয় । মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে লাখো শহীদ কে  স্বরণ করে মর্নিং বার্ড প্যারামেডিক কলেজ এর শিক্ষক,ছাএছাএীসহ   কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ মখলিছুর রহমানের নেতৃত্বে সকাল ৯-৩০ মিনিটের সময় সুবিদ বাজার¯’ মর্নিং বার্ড প্যারামেডিক কলেজ থেকে পায়ে হেটে বিজয়   র‌্যালী  নিয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের দিকে যাত্রা শূুরু করে । র‌্যালীতে কলেজের ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন দেশাত্ববোধক গান পরিবেশ্ন করে পায়ে হেটে শহীদদের স্বরণে শহীদ মিনারের দিকে এগিয়ে যেথে থাকে এবং ১০ ঘটিকার সময়  চৌহাট্টা¯’ কেন্দ্রীয় শহীদ  মিনারে উপ¯ি’ত হয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয় । কলেজের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন মর্নিং বার্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও অনন্যা ছাত্রছাত্রীরা। এর পর কলেজ ক্যাম্পাসে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মর্নিং বার্ড কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ মখলিছঊর রহমান ।   অন্যান্যদের  মধ্যে উপস্তিত ছিলেন  ফয়সল আহমেদ সজল,হাবিবুর রাহমান চৌধুরী,বেলাল আহমেদ ,সাদিকুর রহমান টিপু সহ প্রমুখ । সভায় কলেজের ছাত্রছাত্রীরা দেশাত্ববোধক গান,কবিতা এবং  শহীদদের স্মৃতিচারিত বিভিন্ন বক্তব্য উপ¯’াপন করে  সভার শুর“তে কুরাআন তিলাওয়াত করেন কলেজের প্রাক্তন ছাত্র হোসাইন আহমেদ এর পর ছাত্রছাত্রীদের দৈত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে সভার কার্যক্রম  শুর“ হয়  সভায় উপ¯ি’ত বক্তারা দেশ প্রেমে  উদ্ধুদ্ধ হওয়ার জন্য আহবান জানান এবং শহীদদের  সম্মানার্থে বক্তব্য পেশ করে তারা বলেন যে বাঙালি জাতির আনেক ত্যাগে তীতিক্ষার বিনিময়ে যে লালসবুজ পতাকা অর্জন করেছিল তা রক্ষা করার  দায়িত্ব স্নূীল ছাত্র সমাজের এবং যাতে কোনো চক্র লাখো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে অপব্যবহার এবং গৌরবকে পদধূলিত করতে না পারে সে জন্য ছাত্র সমাজকে সচেষ্ট থাকার আহবান জানিয়েছেন ।সভায় সভাপতি ডাঃ মখলিছুর রহমান ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বর্বরাচিত কাহিনী ছাএছাত্রীদের সামনে তুলে ধরে বলেন যে ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্র ঘুমন্ত বাঙালি জনতার উপর ঝাপিয়ে পড়ে এবং অমানবিক ও অমানুষিক ভাবে তাদেরকে হত্যাকরে ।কিš‘ বাঙালিরা  দমে থাকেনি তারা এর বির“দ্ধে রুখে দাঁড়ায় এবং মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে,বাঙ্গালি জাতিকে রক্ষা করার জন্য বাংলা জননীকে রক্ষার জন্য হাজারো মা-বোনের ইজ্জত রক্ষার জন্য তারা ঘৃণ্য পাকিস্তানি হানাদারদের  বির“দ্ধে অস্র হাতে তুলে যুদ্ধ করে। যে স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে বাঙালি বীর সন্তানেরা তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে লাখো মা বোন তাদের ইজ্জত হারিয়েছে এত ত্যাগ এর বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে কোনো স্বাধীনতা বির“ধী চক্র যাতে কোনো বহিঃ শক্তির হাতে বিক্রি করতে না পারে স্বাধীনতার গ্রৌবকে ধুলিস্যাত করতে না পারে সে দিকে সদা জাগ্রত থাকার জন্য তর“ণ সমাজকে আহ্বান জানান । তিনি আরও বলেন স্বাধীনতা অর্জন করা সহজ কিš‘ তা রক্ষা  এর চেয়ে আরও কঠিন তাই যারা স্বদেশে  থেকে দেশের স্বাধীনতাকে নিয়ে তামাশা করে তাদের সাথে কোনো বাঙ্গালির সম্পর্ক রাখা উচিত নয়, যারা স্বাধীনদেশের উপর পদচারণ করে দেশের স্বাধীনতা নিয়ে তামাশা করে তারা প্রকাশ্য দেশ ও জাতীর শত্রুু তাদের অচিরেই আইনের আওতায় এনে তাদের বিচার করা সরকারের দায়িত্ব ।